বার্তা পরিবেশক :

হ্নীলায় পাহাড়ী এলাকা হতে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার জামাল হোছাইন পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৫জনকে আসামীভূক্ত করা এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ সম্পর্কে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য ও ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।

আপনারা সবাই জানেন, চলতি মাসের গত ১৩ জুলাই সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সংলগ্ন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশের ছড়া হতে পশ্চিম লেদার মরহুম হাজী আবুল কাশেমের পুত্র, নুরুল হুদা মেম্বারের ছোট ভাই, আমার ফুফাত ভাই ও বেয়াই শামসুল হুদা এবং রোহিঙ্গা রহিমুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ধরনের জবাই করে ন্যাক্কারজনক, লোমহর্ষক, বর্বরোচিত খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু পোস্টমর্টেম শেষে তাদের দাফনের পর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় আমি, আমার স্ত্রী ও ৩ ছেলেসহ ৫ জনকে আসামী করায় এলাকার সচেতনমহলসহ সকলেই হতবাক। আমরা এই জাতীয় লোমহর্ষক ঘটনা সমর্থন করিনা, এইভাবে কোন মায়ের বুক খালি হোক তাও চাইনা। আর ঐ ঘটনার সময় আমরা এলাকায় ছিলাম কিনা বা আদৌ সংশ্লিষ্ট কিনা তা লোকজন অথবা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে দেখার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

গত ২০১৫ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় এই শামসুল হুদার হাতে প্রকাশ্যে শত শত লোকজনের সামনে আমার ছোট ছেলে বোরহান উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়। এই ব্যাপারে আমার স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে শামসুল হুদাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বিগত ইউপি নির্বাচনের আগে আমরা পরস্পর আতœীয় দুই পরিবার ভূল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একই ছায়ায় অবস্থান নিই। আমরা স্বাভাবিকভাবে একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করে আসছি। আমরা উভয় আতœীয় ৭নং ওয়ার্ড ও ৮নং ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে পরস্পর আসা যাওয়া করাই জিঁইয়ে থাকা শত্রুমহল মেনে নিতে পারেনি। বিগত বিভিন্ন সময়ে এই জাতীয় ঘটনা ঘটাতে অনেকে তৎপর ছিল কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল বলে কেউ কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেনি। আমরা এলাকায় শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে এবং অপশক্তি ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে অবস্থান নিই। তাই আমাদের মনে হয় এই শত্রুমহলটি ভাড়াটে রোহিঙ্গা খুনিদের ব্যবহার করে এই জঘন্যতম ঘটনার আশ্রয় নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মাধ্যমে উভয় পরিবারকে চিরশত্রু বানিয়ে সুবিধা আদায়ের খেলায় মেতে এই নৃশংস ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা নৃশংসভাবে খুনের শিকার শামসুল হুদা পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলতে চাই, সবাই মিলে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের হাতে সোর্পদ করি আর নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে রক্ষার পদক্ষেপ নিই।

তাই এলাকাবাসী ও নিহত শামসুল হুদা পরিবারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, সময়ের আর্বতে আমার পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন করে সামাজিকভাবে হেয়পন্ন করা হচ্ছে। সময়ের এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। আমার পরিবারের কেউ এই জাতীয় ঘটনায় সম্পৃক্ত নয়। এতে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। কারো প্ররোচনায় আতœীয়ের মধ্যে পারিবারিক বিভাজন না রেখে সকলে মিলে ডাবল মার্ডারের ঘাতকদের খুঁজে বের করে আইনের হাতে সোর্পদ করি এই প্রত্যাশাই রইল। আমি সর্বশেষে আবারো মরহুম শামসুল হুদা পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

 

নিবেদক

জামাল হোছাইন মেম্বার

৭নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ

টেকনাফ, কক্সবাজার।